The Blog

star link
October 27, 2022 0 Categories ইন্টারনেট

ইন্টারনেট সেবা দিবে স্টারলিংক

বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু করেছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। ভবিষ্যতে আরও দেশে সেবার পরিধি বাড়াতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা।

ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। বলা হয়, কম খরচে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন মাস্ক। বিশেষ করে বিশ্বের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছাতে চান তিনি।

এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩২টি দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে বলে গত ১৩ মে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে স্পেসএক্স। টুইটে ইন্টারনেট পরিষেবার একটি ম্যাপও সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই ম্যাপ অনুযায়ী, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল ও চিলি, ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ওই ৩২ দেশের তালিকায় রয়েছে।

টুইটে সংযুক্ত ম্যাপে যেসব দেশে শিগগিরই ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে সেগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে সেবা দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছে স্টারলিংক। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশ থেকে মাসিক ৯৯ ডলারে প্রি–অর্ডার আহ্বান করছে। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের সেবা পাওয়া যাবে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টারলিংকের সাবস্ক্রিপশন নিলে গ্রাহককে একটি স্যাটেলাইট ডিশ ও রাউটার দেওয়া হবে। এরপর সেগুলো গ্রাহকের বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। বাড়ির কোন জায়গা থেকে ভালো সংকেত পাওয়া যাবে, তা বলে দেবে স্টারলিংকের অ্যাপ।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রথম আলোকে বলেন, বিটিআরসির কাছে স্টারলিংক এখনো আসেনি। তারা বিডার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে। স্টারলিংক বাংলাদেশে আসতে চাইলে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে।

গত বছর স্টারলিংক বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বলে প্রথম আলোকে জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তখন বিষয়টি বিটিআরসিকে জানানো হয়। তবে বিআরটিসি রাজি হয়নি।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আবারও স্টারলিংক আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে তিনি তাঁর কার্যালয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তাঁরা বিটিআরসিকে এটি জানাবেন। বিটিআরসি অনুমোদন দিলেই স্টারলিংক ব্যবসা করতে পারবে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদান–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, করোনার সময়ে স্টারলিংক বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু পরে তা আর এগোয়নি।

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নতুন কোনো প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে কেউ আসতে চাইলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু তাকে অবশ্যই বিটিআরসির নিয়মনীতি মেনে আসতে হবে। স্টারলিংক ইতিমধ্যে ৯৯ ডলারে প্রি–অর্ডার নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এখনো তারা অনুমোদন পায়নি।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমদাদুল হক বলেন, বাইরে থেকে যে–ই আসুক, সে যেন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। না হলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা একচেটিয়া হয়ে যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published.